Fiverr এ কাজ পাওয়ার উপায়ঃ Fiverr Tips & Tricks 2021
আজকে এই পোস্ট এর মাধ্যমে Fiverr এ কাজ পাওয়ার কিছু উরাধুরা টিপস শেয়ার করবো। যারা নতুন তাদের কাজে আসতে পারে। তো চলুন শুরু করা যাক, ফাইভার এ কাজ পাওয়ার দ্রুত উপায় বা, How To Get Orders On Fiverr Quickly In 2021;
Fiverr মার্কেটপ্লেসে নিয়মিত Order পেতে হলে নিউ সেলারদের নিয়মিত করণীয় কাজগুলো হচ্ছেঃ
Fiverr Tips#01:
প্রতিদিন ৫-১০ টি বায়ার রিকুয়েষ্ট পাঠানো এবং সেগুলোর আপডেট গুগল সীটে রাখা। যাতে করে মাসে অন্তত ২/১ বার সিনিয়র কারো কাছ থেকে ফিডব্যাক নিতে পারেন যে, কোথাও কোন সমস্যা আছে কি-না অথবা কোথাও ইমপ্রুভমেন্ট করা যায় কি-না।
Fiverr Tips#02:
প্রতি ১/২ সপ্তাহে একটি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পোর্টফলিও তৈরী করা, যেগুলো বায়ার রিকুয়েষ্ট বা কভার লেটার পাঠানোর ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ক্লাইন্ট কে কনভিন্স করতে হেল্প করবে। যেমন ধরেন, একজন বায়ার একটি জব পোস্ট করেছেন তার নতুন রেস্টুরেন্টের লোগো ডিজাইন করিয়ে নেওয়ার জন্য। আপনি সেই জবে ২ ভাবে এপ্লাই করতে পারেন। একটিতে আপনি আপনার ডিজাইন করা সেরা লোগো গুলো পোর্টফলিও হিসেবে দিতে পারেন। আর অন্যটিতে, আপনি শুধুমাত্র রেস্টুরেন্টের জন্য ডিজাইন করা লোগো দিতে পারেন। কোনটা ভালো? অবশ্যই ৫/১০ টা অন্য বিজনেসের লোগো পোর্টফলিও হিসেবে দেওয়ার চেয়ে, ২/৩ টা রেস্টুরেন্টের লোগো দেওয়া অনেক বেশি কার্যকরী। এটা সকল ক্যাটাগরির ফ্রিল্যান্সারদের জন্য প্রযোজ্য।
Fiverr Tips#03:
ফাইভার ফোরামে প্রতি সপ্তাহে মিনিমাম একবার গিগ মার্কেটিং এর নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে গিগ শেয়ার করা যেটা গিগ ইম্প্রেশন, ভিউ, এবং ক্লিক বাড়াতে অনেক হেল্প করবে। আর এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, এই তিনটি ম্যাট্রিক্স বাড়লে আপনার গিগ এ অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনা বাড়বে এবং সাথে সাথে র্যাংকিং ও বাড়বে।
Fiverr Tips#04: ফাইভার ফোরামে প্রতিদিন গড়ে ৪/৫ টি টিপস এন্ড ট্রিকস রিলেটেড আর্টিকেল পড়া এবং সেগুলোতে প্রাসঙ্গিক কমেন্ট করা আপনাদের ফাইভার প্রোফাইলকে অনেকভাবে সাহায্য করতে পারে। এছাড়াও, আপনি চাইলে অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের কাছ থেকে আপনার প্রোফাইল বা গিগের উপর ফিডব্যাক রিকুয়েষ্ট করতে পারেন।
Fiverr Tips#05:
আপনারা মাসে অন্তত ২/৩ বার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে ফাইভার ফোরামে প্রশ্ন করতে পারেন বা সাজেশন চাইতে পারেন যেখানে অনেক সিনিয়র ফ্রিলান্সার উত্তর দিবেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করবেন। তবে অবশ্যই প্রশ্ন করার আগে ফোরামে সার্চ করে দেখে নিবেন যে, একই প্রশ্ন আগে কেউ করেছেন কিনা। যদি কেউ করে থাকেন, তাহলে সেখান থেকে সন্তোষজনক উত্তর টি বেছে নিবেন, আর না করে থাকলে, আপনি আপনার প্রশ্নটি নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে করতে পারবেন।
ফাইভার ফোরামে আপনারা যদি প্রতিদিন ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘন্টার মতো সময় উপরল্লেখিত ৩, ৪, ও ৫ নং কাজে ব্যয় করতে পারেন, তাহলে ঠিক ২~৪ সপ্তাহের মধ্যেই আপনারা গিগের পারফরম্যান্স এ ভালো একটা পরিবর্তন দেখতে পারবেন।
উপরল্লেখিত ১, ২, ও ৬ নং কাজটি যদি আপনি ২~৩ মাস রেগুলার করতে পারেন, তাহলে অবশ্যই সফল হতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে ৩ মাস পরেও যদি আশানুরূপ সাফল্য না পান, সেক্ষেত্রে আমি মনে করি আপনার একজন মেন্টর প্রয়োজন বা অভিজ্ঞ কোন ফ্রিল্যান্সার এর সাথে কাউন্সেলিং প্রয়োজন। যিনি আপনার সবকিছু পর্যালোচনা করে আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন।
সবাই বলে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। কিন্তু আমি বলি, থেমে গেলেন তো হেরে গেলেন। সুতরাং, হেরে যাবেন নাকি জয়ী হবেন, সিদ্ধান্ত আপনার!
আপনি কী ধরনের কাজ করেন, তার ওপর নির্ভর করে আপনার গিগ সাজাতে পারেন।
মনে রাখবেন, একটা ভালো গিগ আপনার ভাগ্য ঘুরিয়ে দিতে পারে।
ফাইভার এ দ্রুত কাজ পাওয়ার জন্য সাধারণ সব ধরনের কাজের ক্ষেত্রে যে ব্যাপারগুলো নজর দিতে পারেন, সেগুলো জেনে নিন:
- ১. আপনার গিগের থাম্বনেইল ঠিক আছে কি না এবং সেটা যুগোপযোগী কি না, সেটা ভালোমতো যাচাই করুন।
- ২. সম্ভব হলে গিগ ভিডিও বানান। যাঁদের গিগে ভিডিও আছে, তাঁদের কাজ পাওয়ার হার তুলনামূলক ভালো। তবে খেয়াল রাখবেন, ভিডিও যেন আপনি যে ধরনের কাজ করছেন, সেটার ভালো একটা ধারণা দেয় এবং ভালো মানের হয়।
- ৩. গিগ টাইটেল ঠিক আছে কি না এবং ক্রেতাকে আকৃষ্ট করতে পারছে কি না, সেটা ভালোভাবে যাচাই করুন।
- ৪. যে সেবা দিচ্ছেন, সেটার প্রতিযোগিতা কেমন, সে অনুযায়ী আপনি আপনার সেবা সাজিয়েছেন কি না দেখুন। আপনার বিভাগে যাঁরা ভালো করছেন, তাঁদের থেকে আপনার গিগ সাজানোর পার্থক্য কী কী, সেটা বোঝার চেষ্টা করুন।
- ৫. ক্রেতাকে রিকোয়েস্ট পাঠিয়ে চেষ্টা করুন। সে ক্ষেত্রে ইংরেজিতে লেখা এবং বানানের দিকে সতর্ক থাকুন এবং পেশাদারির পরিচয় দিন।
- ৬. ফাইভারের এডুকেশন সেন্টার এবং ফোরামে তাদের নিজস্ব কিছু নীতিমালা আছে। সেখান থেকে আপনার কাজের ধরন অনুযায়ী ঘেঁটে দেখে ধারণা নিন।
Fiverr Tips 2021 | Freelancing Geek |
একটা কথা সব সময় মনে রাখবেনঃ
Fiverr এ যে বেশি অর্ডার পায়, ফাইভার তাকে আরো অর্ডার পাওয়ার ব্যবস্থা করে।
ফাইভার এ দ্রুত কাজ পাওয়ার জন্য আরো কিছু টপিক বলি সেগুলা apply করতে পারেন, যেমনঃ
আপনি যদি ডিজাইন নিয়ে কাজ করেন তাহলে ডিজাইন এর উপর ২/৩টা গিগ করবেন,তবে গিগ এর টাইটেল ও ডেসক্রিপশন সব কিছুই একটু করে পরিবর্তন করে লিখবেন,আসা করি ভালো ফল পাবেন
ফাইবারে নিদিষ্ট টাইমে জব পোস্ট করে সো ওই সময়ে আপনিও রেডি থাকেন ,বায়ার রিকোয়েস্ট দিলেই সাথে সাথে আপনার প্রপোজাল পাঠিয়ে দিবেন। আর হা বায়ার রিকোয়েস্ট ভালো হলেই কাজ পাবার সম্ভাবনা বেশি সো আপনি এই বিষয়ে একটু গুগলে স্টাডি করেন ,যে ক্যামনে বায়ার রিকোয়েস্ট পাঠাবো ।
প্রথমত ছোট ছোট গিগ করবেন সাথে প্রাইজটা একটু কম রাখার চেষ্টা করবেন। তাহলে বেস্ট আপনার জন্য
আর হা গিগ এর ইমেজ এ আপনার ছবির সাথে আপনার গিগ কি নিয়া তাঁর একটা ভালো ছবি দিবেন,কারন বায়ার গিগে ছবি দেখলে বিশ্বাস করে।।
সর্বোপরি কম্পিটিটর কি কী নিয়ে গিগ করছে ,তাদের একটু a-z এনালাইসিস করেন আশা করি আপনার কাংখিত লক্ষ্যে আপনি পৌঁছে যাবেন ।
কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে যা আপনাকে দ্রুত অর্ডার পেতে খুবই সাহায্য করবে।
Fiverr Gig Title:
প্রথমেই আপনাকে আপনার গিগের একটা চমৎকার টাইটেল নির্ধারণ করতে হবে। বেশি বড় করা যাবে না।
তবে আপনার টাইটেলে যেন আপনার মেইন কিওয়ার্ড থাকে।
যেমন; আপনি যদি লোগো ডিজাইন করে থাকেন, তাহলে Logo Design হচ্ছে আপনার সিড কিওয়ার্ড বা মেইন কিওয়ার্ড।আশা করি বুযতে পারছেন।
Fiverr Gig Search Tag:
১ম অবস্থায় আপনাকে আপনার মেইন কিওয়ার্ড এর উপর ভিত্তি করে কয়েকটা লো কম্পিটিটর ট্যাগ খুজতে হবে।
Fiverr Gig Pricing:
আমি সাজেস্ট করব ১ম অবস্থায় প্রাইজ কিছুটা কম রাখেন পরে ধিরে ধিরে ওর্ডার আসা শুরু করলে প্রাইজটা বাড়িয়ে দিবেন।
Fiverr Gig Description:
গিগ ডেস্ক্রিপশন গিগ রেংক করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি আপনি ডেস্ক্রিপশনটাকে প্রপারলি এসইও করতে পারেন। আপনি আপনার গিগ ডেস্ক্রিপশন টাকে এমন ভাবে লিখবেন যাতে আপনার মেইন কিওয়ার্ডটি ২-৩ বার থাকে। আবার সরাসরি কিন্ত কিওয়ার্ড টি লিখে দিবেন না, এমনভাবে লিখবেন যাতে সেন্টেন্সের সাথে মিশে যায়।
Fiverr Gig Image:
সুন্দর একটি গিগ ইমেজ দেয়ার চেষ্টা করবেন। এমন কালার ইউজ করবেন যেগুলাতে চোখ আটকে যায়। গিগ ইমেজ নিয়ে ইউটিউবে ভিডিও দেখতে পারেন।
বিভিন্ন সোশাল মিডিয়াতে আপনার গিগটি শেয়ার করুন। কারন সোশাল মিডিয়াতে শেয়ার করেও অনেকে কাজ পেয়েছে।
বিঃদ্র-- ধৈর্য হারাবেন না লেগে থাকুন আর আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করুন, ইনশআল্লাহ একদিন সফল হবেন।
ধন্যবাদ আপনাকে ফাইভার টিপস নিয়ে Freelancing Geek এর এই দরকারী পোস্ট টি পড়ার জন্য। কোন মন্তব্য থাকলে জানাতে পারেন কমেন্ট করে।