ডিজিটাল মার্কেটিং কি? What Is Digital Marketing?
ডিজিটাল মার্কেটিং হলো ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার ও বিক্রির আধুনিক পদ্ধতি। রেগুলার মার্কেটিংয়ের তুলনায় এটি দ্রুত, কার্যকরী এবং গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য অনেক বেশি সহজলভ্য। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো সরাসরি তাদের টার্গেটেড দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে পারে। সাধারণত, সোশ্যাল মিডিয়া, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO), ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, ভিডিও মার্কেটিং, এবং পে-পার-ক্লিক (PPC) বিজ্ঞাপন এই প্রক্রিয়ার অন্তর্গত।
মূল আলোচনা শুরু করার আগে সূচিপত্র জেনে নেয়া যাকঃ
Table Of Contents...
ডিজিটাল মার্কেটিং কি? [উদাহরণ সহ ব্যাখা]
ধরা যাক, একটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ফ্যাশনস্টাইল অনলাইনে পোশাক বিক্রি করে। তারা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করছে তাদের পণ্য প্রচারের জন্য।
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং: ফ্যাশনস্টাইল ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এবং টিকটকে তাদের পণ্যের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে। তাদের বিশেষ অফার বা ডিসকাউন্টের বিজ্ঞাপনগুলো টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য প্রায়ই পোস্ট করা হয়, যা নতুন গ্রাহক আকর্ষণ করে।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO): তারা তাদের ওয়েবসাইটে “শীতকালীন পোশাক” বা “পার্টি ড্রেস” এর মতো কীওয়ার্ড ব্যবহার করে কনটেন্ট তৈরি করছে। এটি তাদের ওয়েবসাইটকে গুগল সার্চে এগিয়ে রাখতে সাহায্য করে, ফলে আগ্রহী ক্রেতারা সহজেই তাদের সাইটে পৌঁছাতে পারেন।
- ইমেইল মার্কেটিং: ফ্যাশনস্টাইল তাদের পুরনো গ্রাহকদের ইমেইলের মাধ্যমে নতুন কালেকশন, ডিসকাউন্ট বা স্পেশাল অফার সম্পর্কে জানায়। এটি পুরনো গ্রাহকদের পুনরায় কেনাকাটায় আগ্রহী করে তোলে।
- পে-পার-ক্লিক (PPC) বিজ্ঞাপন: তারা গুগল অ্যাডসের মাধ্যমে কিছু নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড, যেমন “অনলাইন পোশাক কেনাকাটা” সার্চ করলে বিজ্ঞাপন দেখায়। এতে করে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সহজেই তাদের সাইটে পৌঁছাতে পারেন।
আরো একটু যদি গুছিয়ে বলতে যাই তাহলেঃ
ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে কোন পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারনা কেই আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং বা, Digital Marketing বলে থাকি। আর এই ডিজিটাল মার্কেটিং এর সাথে ইন্টারনেট ব্যবস্থা ওতপ্রোতভাবে বা, ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যেমন- Google, YouTube, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, Facebook, Instagram, LinkedIn সহ জনপ্রিয় সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
Why Digital Marketing? ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবো?
তো প্রশ্ন আসাটাই স্বভাবিক; ডিজিটাল মার্কেটিং কেন করবো? শুধুমাত্র ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমেই নতুম নতুন কাস্টমারের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করে ব্যবসায় টিকে থাকা ই নয় কেবল; দিনে দিনে নতুন নতুন ব্যবসা বানিজ্যের প্রসারে ডিজিটাল মার্কেটিং এর বিকল্প নেই বললেই চলে।
২১ শতকে এসেও যারা মনে করেন ডিজিটাল মার্কেটিং তাদের ব্যবসায় দরকার নেই, বলতে দ্বিধা নেই যে তারা আসলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন।
আপনার পন্য বা, ব্যবসা যত ছোট বা বড়ই হোক না কেন, যদি সেটা Digitalized করেন তবে সেই তথ্য ক্রেতা দেশ এবং আন্তর্জাতিক ভাবে রিচ করা পসিবল। ডিজিটাল দুনিয়ায় আপনি virtual উপস্থিতি অর্থাৎ শারীরিকভাবে উপস্থিত না থেকেও বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বের যে কোন স্থানে যে কোন সময়ে আপনার পণ্য বা সেবা বিক্রয় করতে পারবেন। কিছু সহজ ট্রিক্স এর মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে সঠিকভাবে আপনি আপনার পন্যকে কাস্টমারের কাছে আকর্ষণীয় ভাবে তুলে ধরতে পারবেন খুব সহজেই।
আপনার পণ্য টি যে সকল কাস্টমারের কাছে ব্যপক চাহিদা রয়েছে তাদের সহজে Identify করার পাশাপাশি আপনার নিকটতম ব্রান্ড, মানে Competitor Brand সাথে আপনার Business এ কি কি ঘাটতি আছে তা সহজে নির্ণয় করতে পারবেন। আপনার ব্যবসাকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে ডিজিটাল মার্কেটিং বিরাট ভুমিকা পালন করবে। ডিজিটার মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে খুব কম ব্যয়ে আপনার পণ্যের টার্গেটেড ক্রেতা পাওয়া সম্ভব। কেবল করোনা পরবর্তী সময় বলেই নয়, বর্তমানে ক্রেতারা অনলাইন ভিত্তিক কেনাকাটাতে ঝুঁকছেন বেশি।
How Can I Start Digital Marketing? কি ভাবে ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করবো?
ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার আগে নিজে নিজে একটু চিন্তা করে নিতে হবে যাকে বলে ব্রেইন স্টর্মিং। অর্থাৎ আপনি নিজে নিজে ভেবে দেখতে হবে আপনি কি বিক্রি করবেন অনলাইনে আপনার কোন পণ্যটির সেবা আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আর কাস্টমারের চাহিদা মোতাবেক দিতে পারবেন। আপনার পণ্যের ধরণ ও চাহিদানুযায়ী মোতাবেক আপনাকে কনটেন্ট সাজাতে হবে। কোন ডিজিটাল মাধ্যম কে ব্যবহার করে আপনি মার্কেটিং শুরু করবেন তা নির্ধারন করতে হবে। মানে কথা আপনাকে ডিজিটাল মাধ্যম টি সম্পর্কে ভাল জ্ঞান রাখা জরুরি।
Types Of Digital Marketing: ডিজিটাল মার্কেটিং কত প্রকার?
ডিজিটাল মার্কেটিং আসলে জনপ্রিয় হলেও এর বাস্তবিক পরিসর কিন্তু অনেক বড়।
মার্কেটিংয়ের pattern ও content এর ধরনের ভিত্তিতে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধরনও আলাদা হয়ে থাকে। ধরন বা টাইপ গুলো পরস্পরের সাথে সম্পর্কিত হবার কারণে ডিজিটাল মার্কেটিংকে সুনির্দিষ্ট কোন সংখ্যায় ভাগ করা সম্ভব হয়না।
তবে আমরা আমাদের এই পোষ্ট এ সাধারণ কয়েকটি বিভাগ নিয়ে বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করবো।
- Content Marketing
- SEO - Search Engine Optimization
- SEM - Search Engine Marketing
- SMM - Social Media Marketing
- Influence Marketing
- Email Marketing
- Web Analytics
Content Marketing:
Search Engine এ দ্রুত নিজের ওয়েবসাইটকে Ranking এ নিয়ে আসার জন্য সব থেকে সহজ ও জনপ্রিয় চালিকা শক্তি হলো Content Marketing। বর্তমানে Content Marketing ডিজিটাল মার্কেটিং এর সব থেকে চাহিদা সম্পন্ন ও গুরুত্বপূর্ণ একটি পার্ট এর নাম।
মাইক্রসফট এর ফাউন্ডার Bill Gates অনেক আগেই কন্টেন্ট এর গুরুত্ব অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তাই তিনি বলেছিলেন Content Is King
তার এর উক্তি বিশ্বব্যাপী ভাইরাল ও অনেক জনপ্রিয়। অনলাইনে ছবি বা পোস্টারিং, ব্লগিং এর মাধ্যমে পণ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা, অথবা ভিডিও এর মাধ্যমে পণ্য বা ব্র্যান্ডের প্রচার কে কনটেন্ট মার্কেটিং বলা হয়ে থাকে। একটি সুন্দর, গোছালো এবং Proper Optimized Content এর উপর আপনার পন্যের প্রচার ও বিক্রির পরিমাণ নির্ভর করে।
Search Engine Optimization - SEO:
আপনার প্রতিদ্বন্ধী ব্র্যান্ড এর পণ্যকে পেছনে সরিয়ে আপনার নিজের পণ্য কে সার্চ ইঞ্জিনে সবার উপরে নিয়ে আসার মূল অস্ত্র হলো SEO - Search Engine Optimization. আর এ কারণেই বর্তমান সময়ে এস ই ও বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ডিজিটাল মার্কেটিং এ একটি অত্যান্ত জনপ্রিয় গুরিত্বপূর্ণ প্রপঞ্চ।
SEO ছাড়া আপনার ওয়েবসাইট মাঝিহীন নৌকার মত।
আর তাই ওয়েবসাইট তৈরির চিন্তা মানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্ল্যান করার জন্য এস ই ও হলো মূখ্য বিষয়। আর তাই আসুন জেনে নিই কিছু SEO Glossary
Search Engine Marketing - SEM
যেকোন ব্রান্ডের অনলাইনে উপস্থিতি ও উন্নতির সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম হলো সার্চ ইঞ্জিন। অনলাইন মার্কেটার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হলে অবশই Search Engine Marketing - SMM সম্পর্কে আপনার সুষ্পষ্ট জ্ঞান থাকা আবশ্যক। এর পাশাপাশি Search Engine Marketing Factors গুলো জানা দরকার। আপনার ওয়েবসাইটের প্রতিযোগীদের, মানে আপনার Competitor দের পিছনে ফেলে আপনার সাইটটি কে রাঙ্কিং করতে পারবেন কয়েকটি প্রক্রিয়া অনুসরন এর মাধ্যমে । মনে রাখা জরুরি, সকল ধরণের online Marketing প্রক্রিয়াই Search Engine Marketing - SEM এর আওতাভূক্ত।
Social Media Marketing - SMM
বর্তমানে প্রায় সব বয়সের মানুষের কাছে সোশ্যাল মিডিয়া জনপ্রিয়। অতি সহজে কোন খরচ ছাড়াই আপনার পণ্যের প্রচার প্রচারণার জন্য অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হলো স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং। আপনার পন্য আপনার টার্গেটেড কাস্টমার এর কাছে পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে শুরু করুন Social Media Marketing - SMM.
Facebook Marketing, Instagram Marketing, LinkedIn Marketing, Pinterest Marketing সহ জনপ্রিয় স্যোসাল মিডিয়া মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার পন্যের প্রচার, প্রসার ও বিক্রি বাড়াতে পারেন অনায়াসেই।
এজন্য আপনার সকল স্যোসাল মিডিয়া প্রোপাইল, পেইজ, গ্রুপ অন্ত্যন্ত সুন্দর ও সুচারুরুপে optimized করতে হবে। আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পেইজ বা, গ্রুপে সোশ্যাল মিডিয়া বাটন যুক্ত করুন; নিয়মিত পোস্ট এবং কমেন্টস এর মাধ্যমে আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কিত প্রশ্ন, উত্তর, সুবিধা, প্রয়োজনীয়তা ইত্যাদি বিষয় গুলো আপডেট করুন।
Influence Marketing:
জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব ও অনলাইন সেলিব্রেটি দ্বারা মার্কেটিং করাকে ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং বোঝায় । বর্তমানে দিন দিন Influence Marketing অধিক হারে জনপ্রিয় হচ্ছে এবং দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। US, CANADA, EUROPE, AUS ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এ শীর্ষে রয়েছে।
Email Marketing
ইমেইল মার্কেটিং হল আপনার পণ্যর বিজ্ঞাপন ভোক্তাদের কাছে ডিজিটাল মাধ্যমে সবচেয়ে সহজ এবং দ্রুত উপায়ে পৌঁছানোর কার্যকারি পদ্ধতি। Email Marketing আমাদের দেশের চাইতে বাইরের দেশ গুলোতে বেশী জনপ্রিয়। কিছু টেকনিক অবলম্বন করে ইমেইল মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার পণ্য বা সেবা কে হাজার হাজার গ্রাহকের কাছে খুব সময়ে প্রচার করতে পারবেন।
Web Analytics:
আপনার ওয়েব সাইট টি কতজন ভিজিট করছে? কোন অঞ্চল থেকে কেমন বয়সের মানুষ গুলো ভিজিট করছে? এসব বিশ্লেষণ করার নাম ই হলো Web Analytics।
আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে, একটি ওয়েব সাইটের ভিজিটর সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এনালাইসিস করাকে ওয়েব এনালাইটিক্স বলে। এর জন্য জনপ্রিয় টুলস গুলো হলো গুগল এর Google Web Analytics, বিং এর Bing Web Analytics, ইয়াহু এর Yahoo Web Analytics ইত্যাদি।
এ ছাড়াও ডিজিটাল মার্কেটিং এর আরো অসংখ্য পদ্ধতি রয়েছে; যেমন, মোবাইল মার্কেটিং, ইন্টারেক্টিভ মার্কেটিং, ভাইরাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, ডিজিটাল ডিসপ্লে বিজ্ঞাপন ইত্যাদি।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর
এবার আমরা ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে কিছু প্রশ্নোত্তর জেনে নিবো যে গুলো নতুনদের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে অনেক কাজে আসবে। তো চলুন জেনে নেয়া যাকঃ
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং কি?
ফ্রিল্যান্সিং ডিজিটাল মার্কেটিং হলো এক ধরনের পেশা, যেখানে একজন ব্যক্তি নির্দিষ্ট কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানে স্থায়ীভাবে কাজ না করে, প্রজেক্ট বা ক্লায়েন্ট ভিত্তিতে বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস অনলাইনে প্রচার করে থাকে এবং বিক্রি বাড়ানোর জন্য কাজ করেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রধান স্তম্ভ কয়টি?
ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয়ের পরিমাণ অনেকটাই নির্ভর করে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরণের উপর। সাধারণত:
- সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং (SMM) - ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি প্ল্যাটফর্মে প্রচার।
- সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) - ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনে উন্নত করা।
- সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM) - পেইড বিজ্ঞাপন মাধ্যমে প্রচার করা।
- কনটেন্ট মার্কেটিং - মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার।
- ইমেইল মার্কেটিং - গ্রাহকদের সাথে যোগাযোগের জন্য ইমেইল ব্যবহার করা।
- অ্যানালিটিক্স - প্রচারের ফলাফল বিশ্লেষণ করা।
ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটিং জব কি?
ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটিং জব হলো এমন কাজ যেখানে একজন ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন কোম্পানি বা ক্লায়েন্টের জন্য ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল তৈরি এবং বাস্তবায়ন করে। এটি সময়সীমা, প্রকল্পের ধরন ও ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়।
ডিজিটাল মার্কেটিং করে কত টাকা আয় করা যায়?
ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে আয়ের পরিমাণ অনেকটাই নির্ভর করে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং কাজের ধরণের উপর। সাধারণত:
- শুরুতে: ২০,০০০ - ৩০,০০০ টাকা মাসে।
- মধ্যম পর্যায়ে: ৫০,০০০ - ১,০০,০০০ টাকা মাসে।
- অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সার: ১,০০,০০০ টাকার উপরে।
সাধারণত, একজন ফ্রিল্যান্স ডিজিটাল মার্কেটার মাসে ৩০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা বা তারও বেশি আয় করতে পারে।
ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব?
ডিজিটাল মার্কেটিং শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
- বেসিক ধারণা শিখুন: ডিজিটাল মার্কেটিং কি, এর বিভিন্ন শাখা ও কৌশল সম্পর্কে জানুন।
- অনলাইন কোর্স করুন: বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কিত কোর্স করুন।
- প্র্যাকটিস করুন: নিজের প্রোজেক্ট বা ক্লায়েন্টের জন্য কাজ শুরু করুন।
- নেটওয়ার্কিং: অন্যান্য মার্কেটারদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং তাদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন।
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে কতদিন লাগে?
ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগে। তবে এটি আপনার প্রচেষ্টা এবং প্রাকটিসের উপর নির্ভর করে।
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য কি কি প্রয়োজন?
ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার জন্য প্রয়োজন:
- ইন্টারনেট সংযোগ
- ল্যাপটপ বা কম্পিউটার
- বেসিক কম্পিউটার স্কিল
- উপযুক্ত কোর্স বা রিসোর্স
ডিজিটাল মার্কেটিং করে মাসে কত টাকা আয় করা যায়?
মাসিক আয় ৩০,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা বা তারও বেশি হতে পারে, যা আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার উপর নির্ভর করে।
মোবাইল দিয়ে কি ডিজিটাল মার্কেটিং করা যায়?
হ্যাঁ, মোবাইল দিয়ে ডিজিটাল মার্কেটিং করা সম্ভব এবং এটি আজকাল বেশ জনপ্রিয় একটি পদ্ধতি। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন ডিজিটাল মার্কেটিং কার্যক্রম করা যায়।
অনেক অ্যাপ এবং টুল আছে যা মোবাইল ডিভাইসে সহজে ব্যবহার করা যায়, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাপ, ইমেল মার্কেটিং টুল, এবং অ্যানালিটিক্স সফটওয়্যার।
ডিজিটাল মার্কেটিং এর কোন কোন কাজের চাহিদা বেশি?
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কিছু কাজের চাহিদা বেশি, যেমন:
- SEO (Search Engine Optimization) – ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং বাড়ানোর কাজ।
- Social Media Marketing – সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্র্যান্ড প্রচার।
- Content Marketing – ব্লগ, ভিডিও বা গেস্ট পোস্টের মাধ্যমে কনটেন্ট তৈরি।
- PPC Advertising – পেইড পার ক্লিক বিজ্ঞাপন যেমন গুগল অ্যাডস বা ফেসবুক অ্যাডস।
- Affiliate Marketing – অন্যের পণ্য প্রচার করে কমিশন অর্জন।
এই তথ্যগুলো আপনাকে ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিতে সাহায্য করবে এবং আপনি যদি এই ক্ষেত্রে আগ্রহী হন, তাহলে এগিয়ে যেতে পারবেন।
ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে যদি আপনার মনে আরো কোন প্রশ্ন থাকে তাহলে কমেন্ট এ জানাতে ভুলবেন না। আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে।
Freelancing Geek থেকে আরো পড়ুন...
আমাদের শেষকথাঃ-
ধন্যবাদ আপনাকে Freelancing Geek এ আসার জন্য। আপনার কোন মন্তব্য বা পরামর্শ থাকে তা কমেন্ট বক্স এ জানান। আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং ও অনলাইন ক্যারিয়ার সুন্দর ও সফল হোক! এই কামনায় আজ এখানেই বিদায়... কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্ট এ।