হোস্টিং কি ? কিভাবে ভালো একটি হোস্টিং বাছাই করবেন ?
একটা ওয়েবসাইট করতে গেলে সর্বপ্রথম লাগে একটি ডোমেইন তারপর লাগে একটি হোস্টিং।
{tocify} $title={হোস্টিং নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাঃ}আপনি আপনার বিজনেস এর জন্য কোন হোস্টিং টি বাছাই করবেন এবং বিভিন্ন ধরনের হোস্টিং এর মধ্যে কোন হোস্টিং এর কি কাজ তাই নিয়ে আজকের আলোচনা।
হোস্টিং বলতে বুঝায় যেখানে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের সমস্ত ফাইল জমা রাখবেন এবং বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ইন্সটল করবেন যেমন ধরুন ওয়ার্ডপ্রেস ইন্সটল করা। শেয়ারড , ভিপিএস , রিসেলার ডেডিকেটেড ও ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং এর বর্ণনা নিচে দেওয়া হল।
Shared Hosting
শেয়ার হোস্টিং মূলত একটি কম্পিউটারকে অনেকের মাঝে ভাগ করে দেওয়া হয় যদি উদাহরণ হিসেবে বলতে হয়, মনে করুন একটি হার্ডডিক্স বা একটি কম্পিউটার চারজন মিলে ইউজ করতেছে যার কারণে ওই কম্পিউটারের দাম কমে যাচ্ছে। আর এই কারণে শেয়ার হোস্টিং কিছুটা কম প্রাইসে কেনা যায়।
WordPress Hosting
ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং মূলত ওয়ার্ডপ্রেসকে অপটিমাইজ করে তৈরি করা হয়। এই ক্ষেত্রে বলা যায় যে ওয়ার্ডপ্রেসের জন্য ডেডিকেটেড। এখানে স্পেসিফিক ভাবে সার্ভিস এবং ভিজিটর নির্ধারণ করে হোস্টিং কেনা হয়ে থাকে।
শেয়ার হোস্টিং এবং ওয়ার্ডপ্রেস ম্যানেজ হোস্টিং এর মধ্যে তফাৎ কি?
দুটোর মধ্যে মূল তফাৎ হল শেয়ার্ড হোস্টিং এর মধ্যে যদি কোন কারণে আপনার অন্য কোন শেয়ারহোল্ডার মানে যাকে একই সার্ভার শেয়ার করা হয়েছে তার যদি ভিজিটর বেড়ে যায় তাহলে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে একটু স্লো পাবেন। অপরদিকে ম্যানেজ হোস্টিং সার্ভার বা ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং আপনি কখনো স্লো পাবেন না আপনি যে পরিমাণ রিসোর্স নিয়েছেন ঠিক সেই পরিমাণ রিসোর্স আপনি ব্যবহার করতে পারবেন। এবং আপনার নিজ থেকে কোনদিন এটি মেন্টেন করার জন্য কষ্ট করতে হবেনা। হোস্টিং কোম্পানি থেকেই সার্ভার মেনটেন করে দেয়।
Re-seller Hosting
রিসেলার হোস্টিং এর ক্ষেত্রে অনলাইনে অনেকগুলো ছোট ছোট রিসেলার হোস্টিং কোম্পানি নতুন করে হচ্ছে এবং তারা খুব অল্প দামে হোস্টিং সেবা দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও তাদের উপরে বিশ্বাস করাটা একটু কষ্টসাধ্য হয়ে যায় এত অল্প দামে হোস্টিং সেবা দেখে! এক্ষেত্রে তারা কিন্তু নিজেদের কোন কোম্পানি করছে না, মূলত তারা রিসেলার হোস্টিং সেবা দিচ্ছে। অনেকটা পাইকারি দরে কিনে এনে খুচরো টাকায় বিক্রি করার মত। যেকোনো একটি বড় হোস্টিং কোম্পানি থেকে রিসেলার হোস্টিং কিনে তারপর তাকে ছোট ছোট ভাগ করে তারপর আপনাকে হোস্টিং সেবা দিয়ে থাকে।
VPS Hosting
ভিপিএস হোস্টিং মূলত ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার হোস্টিং। এক্ষেত্রে ফিজিক্যাল সার্ভারকে মাল্টিপল মানুষের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয় কিন্তু প্রত্যেকের ভিপিএস হোস্টিং এর ক্ষেত্রে আলাদা পরিমাণ রিসোর্স স্পিসিফাইড করে দেওয়া হয়। যার কারনে সবাই আলাদা আলাদা অপারেটিং সিস্টেম ইউজ করে এবং প্রত্যেকে অপারেটিং সিস্টেমের সব ধরনের ক্ষমতা ক্লায়েন্টের কাছে থাকে। ভার্চুয়াল প্রাইভেট সার্ভার হওয়ার কারণে একজনের সার্ভারে অন্যজন কোনোভাবেই বাধা দিতে পারে না বা আপনার সার্ভার ডাউন বা স্লো কম হয়ে থাকে।একটু বড় ধরনের ই-কমার্স সাইট কিংবা অনেক বড় ধরনের ব্লগসাইট হলে বা আপনি যদি রিসেলার বিজনেস করতে চান তাহলে বিপিএস পারফেক্ট একটি হোস্টিং।
What’s the difference between VPS Hosting and Shared Hosting?
With Shared Hosting, you have limited administrative access and are not able to customize software configurations. With VPS Hosting, you receive all the power of Dedicated Server Hosting plus the ability to maintain your own set of services and customizable disk space.
Dedicated Servers
ডেডিকেটেড সার্ভার বলতে বুঝানো হয়েছে একটি কম্পিউটার সম্পূর্ণ আপনার জন্য ডেডিকেটেড করা থাকবে। যেখানে শুধুমাত্র আপনার প্রয়োজনীয় ফাইল সেভ করা হবে এক্ষেত্রে অন্য কেউ ইন্টারাপ্ট করতে পারবে না। যেহেতু এক্ষেত্রে স্পেসিফিক ভাবে আপনাকে একটি কম্পিউটার হার্ডডিক্স শুধুমাত্র আপনার জন্য বরাদ্দ থাকে তাই দামের দিক দিকে হিসাব করতে গেলে ডেডিকেটেড সার্ভার দাম সব থেকে বেশি।
শুরু করার জন্য আপনি কি হোস্টিং নেবেন?
শুরু করার জন্য শেয়ার হোস্টিং নেওয়াটাই সবথেকে বেস্ট অপশন হবে। কারণ আপনি কম দামে কিনতে পারবেন এবং আপনি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী পরবর্তীতে সেটি আপডেট করে নিতে পারবেন যেকোন হোস্টিং কোম্পানি থেকে।
হোস্টিং কেনার আগে আপনাকে কিছু জিনিস খেয়াল রাখতে হবে
যেমন –
Disk Space
সহজ ভাষায় বললে ডিস্ক স্পেস হল আপনাকে কতটুকু হার্ডডিক্স বা এসএসডির জায়গা দেওয়া হয়েছে। একটা নরমাল সাইটের জন্য একটা ব্লগ সাইটের জন্য 2 জিবির মত ডিসি স্পেস হলেই হয়। আপনি যদি একটু অপ্টিমাইজ করে এটি ব্যবহার করতে পারেন তাহলে 2 জিবি অনেক।
Bandwidth
ব্যান্ডউইথ হলো কি পরিমাণ মেগাবাইট আপনার ওয়েবসাইট ইউজ করতেছে। উদাহরণ হিসেবে যদি বলি নিরভিকবিডি ডট কম ওয়েবসাইটটি যদি এক মেগাবাইট পরিমাণ রিসোর্স থাকে হোমপেইজে এবং কেউ যদি সাইট একবার ভিজিট করে তাহলে টোটাল ব্যান্ডউইথ থেকে থেকে 1 মেগাবাইট কাটা যাবে। এভাবেই মূলত ব্যান্ডউইথের হিসাবটা করা হয়।
Up-time
আপটাইম মূলত আপনার সার্ভার টি কতক্ষণ পরিমান চালু থাকে। আগে বিষয়টি অনেক ঝামেলার হলেও বর্তমানে দেখা যায় বেশিরভাগ হোস্টিং কোম্পানি প্রায় 100% পরিমাণ সার্ভার ওপেন রাখে যদিও পুরো বছরের মধ্যে দুই থেকে তিন মিনিট পরিমাণ ডাউন টাইম এর সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়
Hosted Domains
হোস্টের ডোমেইন বলতে আপনার যদি একাধিক ডোমেইন নেম থাকে আপনি কতটা ডোমেইন সেখানে হোস্টিং করতে পারবেন। একটা নরমাল শেয়ার হোস্টিংয়ে দুই থেকে তিনটি হোস্টিং করার অনুমতি দিয়ে থাকে।
Sub-domains
আপনার যদি একটি ডোমেইন থাকে তাহলে আপনি সাবডমেইন এর মাধ্যমে অনেক কাজে ব্যবহার করতে পারেন। যেমন আপনি বাংলা / ইংরেজি দুই ভাষায় সাইট তৈরি করতে পারেন।