TRENDING

আমরা যারা লিংক্ডইন-এ নতুন তারা অজান্তেই কিছু ভুল করে বসি। ভদ্রতার পরিচয় দিতে আপনাদের ভুল হতে বিরত থাকা ও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত।
LinkedIn


💠 সিনিয়র কাউকে hi, hello, mr, h/u এগুলো বাংলা শিষ্টাচার নয়। ব্যতিক্রম বাদে আমাদের স্কুল, কলেজ, ভার্সিটি, বেশীরভাগ সরকারী-বেসরকারী কর্মক্ষেত্রে স্যার শব্দটারই প্রচলন বেশি। ভাইও বলতে পারো।
💠 বিদেশে সবাই নাম ধরে ডাকে বা বস বলে ডাকে।আমাদের দেশে এটার প্রচলন খুবই কম।ছোট-বড় কাউকে স্যার/ভাই বললেই কারো নিজের সম্মানহানি হয় না।কাউকে সম্মান প্রদর্শনের এই রীতিটি দেশীয় সংস্কৃতি না হলেও এটি দীর্ঘদিন সমাদৃত হয়ে আসছে।
💠 কারো লেখার উপরে নেতিবাচক কমেন্ট না করাই ভালো। অযথা তর্ক পরিহার করাই উত্তম।অন্যকে সম্মান করতে শেখো।
💠 কাউকে মেসেজ করার ক্ষেত্রে মেসেজ দীর্ঘায়িত না করাই উত্তম।কাউকে ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী সম্মোধন করা খুবই ভালো কাজ।
💠 কাউকে কোন প্রয়োজনে মনের কথাটি সালাম দিয়ে গুছিয়ে ছোট করে লেখো।এখানে সবাই অসম্ভব ব্যস্ত থাকেন।চ্যাটিং মুডে না যাওয়াই ভালো।অন্য পক্ষের অনুমতি ছাড়া এটা করাও ঠিক নয়।
💠 কানেক্ট না হতেই হুট করে কাউকে বিজ্ঞাপন, পণ্য/সার্ভিস বিক্রয়ের প্রস্তাব না দেয়াই উত্তম।
💠 নিজের মৌলিক লেখার উপর গুরুত্ব বাড়াও।কপি, কালেকটেড লেখা শেয়ার করার প্রবণতা কমাও।স্কিল বাড়ায় এমন লেখাগুলি বেশি করে স্টাডি করো।পড়ো, থামো, ভাবো এবং ভাবো।নিজের উপলব্ধির ক্ষমতা বাড়াও।
💠 R8, Tnx, WC, ইমোজি সহ সংক্ষিপ্ত কমেন্ট পরিহার করে কারও লেখার উপর গুছিয়ে সুন্দর করে কমেন্ট করো।কারো লেখা ভালো লাগলে রিশেয়ার করতে পারো।
💠 কারো কাছে সাথে সাথে চাকুরী চেয়ে মেসেজ না দেয়াই ভালো।এতে তোমার অসহায়ত্ব ও দেউলিয়াত্ব প্রকাশ পাবে বেশি।তুমি কারো সাহায্য-সহযোগিতা চাইতেই পারো।তবে এক্ষেত্রে বিনয়ী হও।
💠 কেউ ইচ্ছে করলেই যখন তখন কাউকে সরাসরি চাকুরী দিতে পারেন না।প্রতিটি প্রতিষ্ঠানেরই চাকুরীবিধি ও নিয়োগাবলীর নিজস্ব নিয়ম রয়েছে।এগুলো মেনে চলতে হয়।
💠 কাউকে চাকুরী দেয়ার জন্য বারবার নক করা বোকামী।সিভি দিতে চাইলে অনুমতি নাও।অনুমতি ছাড়া সিভি পাঠানো অহেতুক একটা বোকামী।তুমি বরং কাউকে তোমার প্রোফাইলটি চেক করার অনুরোধ করতে পারো।
💠 বিপরীত লিঙ্গ বা অন্য কাউকেই অশালীন মেসেজ/প্রস্তাব দেয়া, হয়রানী করা একদম ঠিক নয়।
💠 কারো কাছে এনডোর্সমেন্ট চাওয়া একটা বোকামী।এনডোর্সমেন্ট দিয়ে কারো চাকুরী হয় না মনে রেখো।কারো লেখার মধ্যে কমেন্টে কোন বিজ্ঞাপন দিয়ো না।
💠 সর্বক্ষেত্রে নিজের ব্যক্তিত্ব বজায় রাখতে শেখো এবং কোন কিছুই মাত্রাতিরিক্ত ভালো নয়।
আশা করছি লেখাটি অনেক ভালো লেগেছে এবং বাস্তব জীবনে উপকারে আসবে।
আজ এ পর্যন্তই আবার এসে হাজির হবো নতুন কোনো লেখা নিয়ে।
ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকবেন, নিরাপদে থাকবেন, House of NUBDians এর সাথে থাকবেন।


লিংকড-ইন কেন দরকার? কিভাবে এটি কাজ করে?
১। বর্তমানে প্রফেশনালদের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম হচ্ছে লিংকড-ইন। পুরো দুনিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। আপনি কেন পিছিয়ে থাকবেন? ৪০০ মিলিয়ন মামা, খালা, চাচা এক জায়গায় আর কোথায় পাবেন?
২। লিংকড-ইন একটি বৈশ্বিক যোগাযোগের মাধ্যম। দুনিয়ার যে কোন প্রান্তের যে কোন কোম্পানির যে কোন লোককে পাওয়া সম্ভব লিঙ্কডইন দ্বারা।
৩। উন্নত দেশগুলোতে লিঙ্কডইনের মাধ্যমে অনেকেই পাচ্ছে মনের মত চাকরি।
৪। ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত করার মাধ্যমে চাকরির সব বিজ্ঞপ্তিগুলো আপনি পাবেন লিংকড-ইনে।
৫। লিংকড-ইন আপনাকে বাছাই করে বলে দিবে আপনার আসলে কোন কোন চাকরির জন্য আবেদন করা দরকার।
৬। আপনার ভালো কাজের জন্য আপনাকে আপনার কলিগ বা বস রিকমেন্ড করতে পারে যা কিনা আপনাকে পরবর্তী চাকরি পেতে অনেক সাহায্য করবে।
৭। লিংকড-ইনে আপনার যেকোন পোস্ট কেউ লাইক, শেয়ার বা কমেন্ট করলে সেটা তার প্রোফাইলেও যারা যুক্ত আছে তাদের হোমপেজে চলে যাবে। অনেকের মধ্যে নিজের ভালো কাজের খবর ছড়িয়ে দিতে লিংকড-ইনের জুড়ি নেই।
৮। লিংকড-ইন ব্যবহার করে আপনি সরাসরি আবেদন করতে পারবেন অনেক বহুজাতিক কোম্পানিতে।
৯। দেশী ও বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর পেজ বা গ্রুপ ফলো করলে পাবেন তাদের আপডেটগুলো।

১০। কোথাও আবেদন করার সময় ওই কোম্পানি কেমন, কারা ওই কোম্পানিতে চাকরি করছেন ইত্যাদি নানা তথ্য পাবেন লিংকড-ইনে।

কিভাবে তৈরি করবেন আকর্ষণীয় লিংকড-ইন?
ধরে নিলাম আপনার সিভি লেখা শেষ, এবার সিভিতে আপনার পার্সোনাল তথ্যগুলো যেভাবে বসিয়েছেন ঠিক একই ভাবে লিংকড-ইনেও বসান। প্রফেশনাল ছবি দিন। চলুন, স্টেপ বাই স্টেপ এগিয়ে যাইঃ
১। সারাংশঃ
লিংকড-ইন প্রথমেই আপনার সম্পর্কে জানতে চাইবে। নিজেকে কৃতকর্মের মাধ্যমে পরিচিত করান এবং কী কী কাজ জানেন বা কী করতে চান তুলে ধরুন। মিশন ও ভিশন স্টেটমেন্ট লিখুন। লিংকড-ইন আপনাকে দিচ্ছে আপনার যে কোন ভিডিও ব্লগ, ডকুমেন্ট, প্রেজেন্টেশন আপলোড করার সুযোগ। নিজের সিভিটি এখানে আপলোড করে রাখতে পারেন।
২। এক্সপেরিয়েন্সঃ
ঠিক যেমন তৈরি করেছেন সিভিতে। কপি পেস্ট করে বসিয়ে দিন, কনট্রোল সি আর কনট্রোল ভি এর ব্যাপার! এক্ষেত্রেও লিংকড-ইন আপনাকে ডকুমেন্ট, ইমেজ, ভিডিও, যুক্ত করার সুযোগ দিয়েছে। কোন কোম্পানির গোপনীয় কোন তথ্য দেওয়া যাবে না। কিন্তু মনে করুন, আপনি একটি ট্রেনিং করেছেন বা করিয়েছেন, আপনি প্রেজেন্টেশন দিয়েছেন কিংবা আপনার কোম্পানিতে কোন পাবলিশ হওয়া লেখা, ভিডিও বা ফিচার রয়েছে সেগুলো এখানে আপলোড করুন। সিভিতে এই সুযোগ নেই। একাধিক কোম্পানিতে চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলে প্রতি ক্ষেত্রে একই পন্থা অবলম্বন করুন।
যারা ফ্রেশার তারা ইন্টার্নশিপ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ভিজিট, মেম্বারশিপের মাধ্যমে অভিজ্ঞতার ঘরটি পূরণ করুন। কো-কারিকুলাম অ্যাক্টিভিটিজের মাধ্যমে আপনি কোন কোন কাজে অভিজ্ঞ ফুটিয়ে তুলুন। কোন কাজে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ছিলেন বা কোন কোম্পানির প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন অল্প কিছু দিনের জন্য। সেটাও বসানোর সুযোগ আছে লিংকড-ইনে।
৩। এন্ডোর্সমেন্টঃ
ব্যাপারটা অনেকটা ভোটের মত। আপনি এখানে আপনার ৫০টি স্কিলের নাম বলবেন। আপনার সবচেয়ে ভালো ১০টি স্কিল লিংকড-ইন দেখাবে। আপনার সাথে যারা কানেক্টেড হবেন তারাই বলে দিবেন যে আপনি আসলেই যে দক্ষতাটি উল্লেখ করেছেন আসলে আপনি ওই ব্যাপারে কতটা দক্ষ। অবশ্যই লিংকড-ইনে এন্ডোর্সমেন্ট বাড়াবেন যাতে অন্যরা আপনার প্রোফাইল দেখে আপনার দক্ষতা সম্পর্কে ধারণা পায়। ধরুন, আমি ট্রেইনার; এখন আপনি যদি আমাকে এন্ডোর্স করেন ট্রেইনার হিসেবে, তাহলে অন্য কেউ যখন আমার প্রোফাইল দেখবেন, তখন উনি ধারণা পাবেন যে আমি ট্রেইনার। কারণ, আপনি আমাকে ট্রেইনার হিসেবে সার্টিফাই বা এন্ডোর্স করেছেন।
৪। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
সিভি থেকে এক এক করে সবগুলো বসিয়ে নিন। সার্টিফিকেট চাইলে স্ক্যান করে যুক্ত করে দিতে পারেন। প্রফেশনাল সার্টিফিকেট যুক্ত করা ভালো।
৫। প্রকাশনাঃ
কারো কোন লেখা, কোন জার্নাল ছাপা হয়ে থাকলে লিংকসহ সেটিও দিয়ে দিন। মজার বিষয় হচ্ছে, আপনি যখন প্রোফাইল সাজাবেন তখন লিংকড-ইন নিজেই আপনাকে অনেক নির্দেশনা দিবে।
৬। ট্রেনিংঃ
সিভি থেকে এক এক করে ট্রেনিং গুলো তুলে নিন। কোন কোর্স করা থাকলে সেটি অ্যাড করুন।
৭। টেস্ট স্কোরঃ
জিআরই, আই ই এল টি এস, টোফেল পরীক্ষার স্কোর দিতে পারেন। যুক্ত করতে পারেন সার্টিফিকেটও।
৮। পুরস্কারঃ
আপনি হয়তো চাকরির পাশাপাশি কোন কাজের জন্য পুরস্কৃত হয়েছেন। কোন সমাজসেবামূলক কাজ, কোন খেলাধুলা, স্কাউট, বিতর্ক ইত্যাদি। সেগুলো উল্লেখ করতে পারেন। চাকরিতে পাওয়া পুরস্কারের কথা এক্সপেরিয়েন্স অংশে লেখাই ভালো।
৯। প্রজেক্টঃ
আপনি হয়তো কোন প্রোডাক্ট লঞ্চ করেছেন, কোন নতুন মেশিন বসিয়েছেন কোম্পানিতে, কোন ইভেন্ট অ্যারেঞ্জ করেছেন। এগুলোর প্রত্যেকটিই প্রজেক্ট। এগুলো সাবলীলভাবে উল্লেখ করুন। মনে রাখবেন, নিত্যদিনের কাজগুলো কিন্তু প্রজেক্ট না। প্রজেক্টের শুরু আছে, শেষ আছে। প্রজেক্ট ইউনিক।
১০। সার্টিফিকেশনঃ
ধরুন আপনি কোন ক্লাবের মেম্বার, কোন দলের সভাপতি। সেই সার্টিফিকেটগুলো এখানে তুলে ধরতে পারেন।
১১। পেটেন্টঃ

আপনার কোন নতুন আইডিয়া যা কিনা আপনার নিজের বা কোম্পানির জন্য বিরাট সাফল্য বয়ে এনেছিলো, এখানে সেগুলো উল্লেখ করুন। আপনি হয়তো কোম্পানিতে কোন একটা পলিসি তৈরি করে দিয়ে এসেছেন, যেটা আগে ছিলো না।

 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন